২০২৪ আইপিএলে যুক্ত নতুন নিয়ম

আইপিএলের বদৌলতেই বিশ্বে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার উঠে আসছে। নতুন নতুন ক্রিকেটারের সঙ্গে অনেক নতুন নিয়মের সঙ্গেও পরিচয় করিয়েছে এই টুর্নামেন্ট। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ২০২৪ আইপিএলেও যোগ হচ্ছে নতুন এক নিয়ম।

আর দুইদিন পরেই মাঠে গড়াবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসর। দল থেকে শুরু করে মাঠের আয়োজন সব প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। তবে এরই মাঝে টুর্নামেন্টে যোগ হলো নতুন নিয়ম। এতদিন ছিল ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম)। এবারের আইপিএলে দেখা যাবে এসআরএস (স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেম)।

টি-টোয়েন্টিকে বলা হয়ে থাকে ব্যাটারদের খেলা। যেখানে প্রতিটি ম্যাচেই বোলাররা পরিণত হন বলির পাঠায়। তবে এবার কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসছে এই নিয়মে। আইসিসির নিয়মকে টেক্কা দিয়ে বোলারদের সুবিধা বাড়াচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)।

ব্যাটে-বলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও বাড়াতে আইপিএলের ২০২৪-এর আসর থেকে ওভারে দুটি বাউন্সার বৈধ করা হচ্ছে। অর্থাৎ এবারের আইপিএলে এক ওভারে সর্বোচ্চ দুটি পর্যন্ত বাউন্সার দিতে পারবে বোলাররা। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

আইসিসির আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, ওভারপ্রতি একটি বাউন্সার বা কাঁধসমান উচ্চতার শর্ট বলকে বৈধ বলে গণ্য করা হয়। এরপর থেকে বল বাউন্স হলে ডাকা হয় নো বল। আইপিএলে সেটি বাড়িয়ে করা হচ্ছে দুটি। মানে ওভারে তৃতীয় বাউন্সারের ক্ষেত্রে ডাকা হবে নো বল।

আইপিলের আগে ভারতের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে এই নিয়ম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। এবার তা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে আইপিলের মঞ্চে। বিসিসিআইয়ের আনীত এ নিয়মকে সাধুবাদও জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় দলের বাঁহাতি পেসার জয়দেব উনাদকাট।

ক্রিকইনফোকে উনাদকাট জানান, আমার মনে হয় ওভারে দুটি বাউন্সার বেশ কাজে আসবে এবং আমার মনে হয় এটি এমন একটা ব্যাপার, যাতে বোলাররা ব্যাটসম্যানের ওপর সুবিধা পাবে। কারণ, ধরুন একজন স্লো বাউন্সার করল আগে ব্যাটসম্যান নিশ্চিত থাকত যে আর বাউন্সার আসবে না। তবে এখন ওভারের প্রথম অর্ধে আপনি যদি একটা স্লোয়ার বাউন্সার করেও থাকেন, আপনি আরেকটি করতে পারবেন।

বাউন্সারের নিয়মে পরিবর্তন আসলেও গতবার যুক্ত হওয়া ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’-এর নিয়ম থাকছে এবারও। এ নিয়মে ম্যাচের যে কোনো সময় একাদশের বাইরে থেকে একজন খেলোয়াড়কে নামানো যায়। এ নিয়ম অনুযায়ী, টসের সময় ইমপ্যাক্ট বদলি হিসেবে চারজনের নাম দিতে হয়, যার মধ্য থেকে একজন প্রতি ম্যাচে নামতে পারেন। অবশ্য একাদশে যদি চারজন বিদেশি খেলোয়াড় থেকে থাকে, তাহলে ইমপ্যাক্ট বদলি হিসেবে একজন ভারতীয়কে নিতে হবে।