বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির আদি থেকে অন্ত

বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি

Mar 6, 2024 - 12:43
 0  22
বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির আদি থেকে অন্ত
বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির আদি থেকে অন্ত

শিক্ষা মানুষের জীবনের একটি মৌলিক অধিকার। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের দেশের ভবিষ্যত। তাই তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে, কোন ধরণের আপোষ তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে প্রতিবন্ধকতা বয়ে নিয়ে আনার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করবে। পুঁথিগত বিদ্যাকে পেছনে ফেলে দক্ষতা এবং প্রযুক্তির জোরে এগিয়ে চলছে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রসমূহ। তাই আগামী ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে একজন যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথাগত শিক্ষাকে পেছনে ফেলে  বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন দেখে প্রতিটি শিক্ষার্থী। কেন বিদেশে শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে শিক্ষার্থীরা এবং দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগ্রহ থেকেই এই প্রতিবেদন।


কেন উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশ যাবেন? 


ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে বর্তমানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে ইচ্ছুক। উন্নতমানের জীবনযাত্রা, আধুনিক পড়াশোনা এবং শিক্ষার পাশাপাশি  চাকরীর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকার কারণে আজকাল বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে। বিদেশী ডিগ্রির গ্রহণযোগ্যতা সময়ের সাথে সাথে বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশ চাকরির ক্ষেত্রে কিংবা বিশ্বের যেকোনো দেশে চাকরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বিদেশী ডিগ্রিকে।
গবেষণা-মুখী শিক্ষা, পর্যাপ্ত পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা, রেসিডেন্সি পারমিট পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিজ ভবিষ্যৎ জীবনকে সুন্দর করার লক্ষ্যে আজকাল অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছুটে চলছে বিদেশে। তাই আপনি যদি শিক্ষাজীবনকে আধুনিক শিক্ষায় এবং প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত চান তাহলে বিদেশে উচ্চশিক্ষা হতে পারে আপনার স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে অন্যতম পন্থা। 
বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে পূর্ব প্রস্তুতি কীভাবে নিবেন? 
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বিদেশে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার স্বপ্ন নিয়ে তার স্নাতক ডিগ্রি শেষ করে। কোন কোন শিক্ষার্থী আবার এইচএসসি পর স্নাতক লেভেলে পড়ার জন্য পাড়ি জমায় তাদের স্বপ্নের দেশে। তবে প্রত্যেক শিক্ষার্থী যে লেভেলের হোক না কেন তার বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে তাকে কিছু পূর্ণ প্রস্তুতির প্রয়োজন পরে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক একজন শিক্ষার্থীর বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কি ধরনের পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়োজন হয়। 

১. ইংরেজি দক্ষতা যাচাই 

বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আপনাকে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হল ভাষা-গত দক্ষতা যাচাই করা। প্রত্যেকটি দেশে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা রয়েছে। আপনি যখন যে দেশে যাবেন তখন আপনাকে সে ভাষার দক্ষতা যাচাই স্কোরের উপর ভিত্তি করে আপনি আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ কিংবা ভিসার জন্য নির্বাচিত হবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ভাষা-গত দক্ষতা যাচাই করা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ! 
আপনার যদি টার্গেট থাকে ইউরোপ, আমেরিকা,কানাডা যাওয়ার তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার জন্য ভালো স্কোর অর্জন করতে হবে। বর্তমানে সারা-বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত  ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষার নাম হল IELTS, GRE, GMAT, TOFEL, PTE ইত্যাদি। উপযুক্ত পরীক্ষার স্কোর দিয়ে আপনার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করতে হবে। বর্তমানে দেখা যায় এইসকল পরীক্ষার পাশাপাশি Duolingo পরীক্ষার মাধ্যমেও শিক্ষার্থীরা তাদের ইংরেজি দক্ষতা যাচাই করে নিচ্ছে। এ বিষয়ে মতামত নিতে আমাদের প্রতিনিধি যায় রাজধানীর মিরপুর-১০ এলাকায় অবস্থিত Mor Suraha নামক প্রতিষ্ঠানে। এই প্রতিষ্ঠানের সি ই ও আমিনুর রহমান এর সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজি দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং অবশ্যই এই দক্ষতা না থাকলে আপনি উচ্চশিক্ষা নিতে বিদেশে যেতে পারবেন না। পুর্বে সকলে IELTS, PTE –এর মতো পরীক্ষাইয় উত্তীর্ন হয়ে বাহিরে পড়ালেখা করতে গেলেও বর্তমানে Duolingo পরীক্ষা দিয়ে খুব সহজেই সকলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে পারছে। Mor Suraha-এই ইংরেজি দক্ষতা বিষয়ক সকল কোর্স চলমান রেখেছে এবং প্রতিনিয়ত তাদের ছাত্র ছাত্রীরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পারি জমাচ্ছে।“  তাই স্বপ্ন যদি থাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার তাহলে ভাষা দক্ষতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্য প্রস্তুতি নিন এখনই। 

২. সিজিপিএ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের শিক্ষার মূল্যায়ন যাচাই কারক হিসেবে পরিচিত হল সিজিপিএ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রায়শই বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ সিজিপিএ এর কথা বলে। তবে হ্যাঁ ভালো স্কলারশিপ পেতে হলে আপনাকে আপনার রেজাল্ট এর দিকে নজর দিতে হবে। তাই অন্তত ৩.৫০ রাখার চেষ্টা করুন। কারণ রেজাল্ট ভালো হলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকাংশে। 

৩. রিসার্চ পেপার 

বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রিসার্চ পেপার। আপনি যদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে যান সেক্ষেত্রে আপনার রিসার্চ পেপার পাবলিশ থাকলে আপনি একটি ভালো স্কলারশিপ খুব সহজে পেয়ে যাবেন।
মূলত কোন গবেষণালব্ধ জার্নাল, আর্টিকেল কিংবা নিউজ পেপারে আপনি যদি লিখালিখি করেন এবং তার পাবলিশ লিংক আপনার ডকুমেন্ট এর সাথে পাঠিয়ে দেন তাহলে আপনি কম সিজিপিএ থাকলেও একটি ভালোমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ অর্জন করে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। আজকাল ইন্টারনেট কিংবা ইউটিউব এর মধ্যে রিসার্চ পেপার সংক্রান্ত অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন। বিস্তারিত জেনে নিজেই প্রকাশ করতে পারবেন আপনার রিসার্চ পেপার।

৪. রিকোমেন্ডেশন 

বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে লেটার অফ রিকমেন্ডেশনকে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। মূলত আপনার সম্পর্কে জানে, আপনাকে ভালো চিনে এমন ২ থেকে ৩ জন ব্যক্তির কাছ থেকে রিকোমেন্ডেশন আপনার প্রয়োজন হবে। তবে অবশ্যই পরিবারের কোন ব্যক্তির কাছ থেকে আপনি রিকমেন্ডেশন না চেয়ে আপনার কোন শিক্ষক, কোন মেন্টর, কোথাও জব করলে সেক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে আপনি রিকমেন্ডেশন লেটার নিতে পারেন। কারণ কারা রিকমেন্ডেশন দিচ্ছে তা মূল ব্যাপার নয়। বরং কি লিখছে সেটা মূল ব্যাপার।

৫. এক্সপেরিয়েন্স 

বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এক্সপেরিয়েন্স আপনাকে বিদেশের মাটিতে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে কাজ করুন। বর্তমানে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে বাংলাদেশে। তাই আপনি শুরু থেকে তাদের সাথে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এই ভলেন্টিয়ারিং কার্যক্রম আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। 
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই প্রক্রিয়া 
স্কলারশিপের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বাছাইয়ের পূর্বে আপনাকে কোন দেশে যাবেন তা নিয়ে আগে ভাবতে হবে। দেশ নির্বাচনের পর আপনাকে শহর নির্বাচন করতে হবে। মূলত শিক্ষাব্যবস্থা এবং জীবিকা নির্বাহের হিসাব পরিসংখ্যান এর মাধ্যমে যাচাই কিরে আপনাকে বাছাইয়ের কাজটি করতে হবে। যেমন শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আধুনিক জীবনমানের দিকে এগিয়ে আছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, কানাডা, মালয়েশিয়া, ইত্যাদি। 
তবে দেশ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। যেমন আপনাকে পড়াশোনার খরচ, টিউশন ফি, একোমোডেশন ফি, ইত্যাদি খরচসমূহ বিবেচনায় নিয়ে আপনাকে একটি দেশ সিলেক্ট করতে হবে।  
বিদেশে অনেক বিষয়ে পড়াশোনার মাধ্যম খোলা রয়েছে। তবে আপনি কোন বিষয়ে পড়তে চাচ্ছেন? সে বিষয়ের চাহিদা দেশ কিংবা বিদেশে ঠিক কতখানি রয়েছে— এই সকল বিষয়কে মাথায় রেখে আপনাকে আপনার কাঙ্ক্ষিত বিষয় বেছে নিতে হবে। কারণ ডিমান্ডেবল সাবজেক্টে পড়াশোনা করলে আপনার চাকরি পাবার স্বভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। 
এবার আসি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে। এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যারা প্রথম সারির কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ধরণের স্কলারশিপ প্রদান করে না। আবার এমন কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে তারা এক দেশের দ্বিতীয় সারির বিশ্ববিদ্যালয় হলেও অন্যদেশের তুলনায় একেবারে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়। তাই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখতে হবে আলোচিত বিষয়সমূহের উপর-

 
আপনার পছন্দের বিষয়ে আছে কিনা?
পড়াশোনার মান উন্নত কিনা? 
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকদের মান কেমন?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান 
কোর্সের মেয়াদ এবং টিউশন ফি 
স্কলারশিপ 
আবাসন ব্যবস্থা 
ভর্তি যোগ্যতা
তবে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি দেশকে টার্গেট করে আবেদন করবেন না। বরং আপনার সক্ষমতা অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করুন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে PnH Consultancy–এর ডিরেক্টর, স্টাডি এব্রোড & ট্রেইনিং আমিনুর রহমান বলেন,” PnH Consultancy দীর্ঘ ৯বছর ধরে সফলতার সাথে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের মতামত দিয়ে সাহায্য করে আসছি। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন থেকে শুরু করে আবাসন ব্যবস্থা, কোন দেশের জন্য কোন শিক্ষার্থী উপযোগী, তাদের কর্মসংস্থানে সাহায্য করা ইত্যাদি কাজে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ইর্ষনীয়। এ বিষয়ে আমরা চেষ্টা করি দক্ষ ট্রেইনার এবং কনসালটেন্ট দিয়ে প্রতি শিক্ষার্থীকে আলাদা আলাদাভাবে বুঝাতে। এতে সকল শিক্ষার্থী তাদের বিশ্বাস এবং আস্থা আরো মজবুত করে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যেতে পারে।“ 
বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কি ধরণের সুবিধা রয়েছে?
উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশে যাওয়া প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে একটি স্বপ্নের নাম। দিন দিন এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দেশ। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী ঠিক কি ধরণের সুযোগ সুবিধা অর্জন করতে পারবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে। 

ক. আত্ননির্ভরশীলতা 

বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আপনি পরিপূর্ণভাবে আত্ননির্ভরশীলতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। পূর্বে যেখানে আপনি পরিবারের উপর নির্ভরশীল থাকতেন, এখন আপনাকে আপনার জীবনের সকল ধরণের সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে। বিদেশে কোন ধরণের হেল্পিং হ্যান্ড নেই বিধায় আপনার ব্যক্তিগত  কাজগুলো আপনাকে করতে হবে। সেই সাথে ব্যক্তিগত হিসাব নিকাশ মেনে চলার মাধ্যমে জীবনের অর্থ আপনি সহজে বুঝতে পারবেন। অর্থাৎ বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আপনি পুরোপুরি আত্ননির্ভশীল হওয়া সুযোগ অর্জন করবেন।  

খ. নতুন ভাষা রপ্ত 

আপনি যখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে আসবেন সে দেশের সংস্কৃতির সাথে ভাষার বেশ পরিবর্তন রয়েছে। তাই একটি ভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যাওয়ার ফলে আপনি সে দেশের ভাষা রপ্ত করতে পারবেন। 
একটি ভিনদেশে এসে সে দেশের ভাষা রপ্ত করতে পারলে আপনি চলার ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা পাবেন ঠিক তেমনি করে সে দেশের মানুষের সাথে খুব তাড়াতাড়ি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও বেশ সুবিধা পাবেন। 

গ. আধুনিক শিক্ষা অর্জন 

বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আপনি উন্নত এবং আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পাবেন। দেশের পুঁথিগত বিদ্যা থেকে আপনি গবেষণালব্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সমন্বয় সাধন করতে পারবেন। নতুন পরিবেশ, নতুন জীবনযাত্রার সাথে আপনি বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবার পরিপূর্ণ সুযোগ পাবেন। 

ঘ. ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট 

দেশের বাজারে বিদেশে উচ্চশিক্ষার কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানসমূহে আপনি বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ফলে খুব সহজে নিজের পছন্দের পজিশনে চাকরি করতে পারছেন। পাশাপাশি একটি ডিগ্রী পাচ্ছেন যা আপনার বিদেশের মাটিতেও ক্যারিয়ার বুস্ট করতে বেশ সাহায্য করবে। 

ঙ. পার্ট টাইম চাকরি 

বিদেশে উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল পার্ট টাইম চাকরি। আপনি বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজে আয় করতে পারবেন। বেশিরভাগ দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ পেতে শিক্ষার্থীরা পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে। 

চ. একটি নিশ্চিত ভবিষ্যৎ 

বর্তমান বাজারে বিদেশে উচ্চশিক্ষার চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। আপনি যদি একটি ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনাকে চাকরি খুঁজতে হৰে না বরং চাকরি আপনাকে খুঁজে নিবে। তাই একটি ভালো মানের চাকরি, উন্নত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে চাইলে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আপনাকে স্বাগতম। 

শেষকথা

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিদেশ যাওয়া একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার নাম। কারণ আপনি রাতারাতি বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে পারবেন না। এমনকি দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থীই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি অথবা সঠিক নির্দেশনার অভাবে ঝরে পরে। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আপনাকে সফলতা এনে দিতে সাহায্য করবে।


 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow